Header Ads

ফিলিস্তিনি দখলের মর্মাহত ইতিহাস



1930 সালের দিকে পোল্যান্ড থেকে প্রথমবারের মতো একদল ইহুদী  পাড়ি জমায় ফিলিস্তিনের কিটবুস নামক স্থানে ফিলিস্তিনের গাজা শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দুরেই অবস্থান ছিলো কিটবুসের।তারা সেখানে এসেই কৃষি কাজ শুরু করলো এবং তারা কিটবুসের  বিভিন্ন স্থানে  গড়ে তুলতে লাগল কৃষি খামার অন্যদিকে আরববাসীর দাঁড়াও কৃষিনির্ভর ছিলেন যার জন্য ইহুদিদের এইখানে বসতিস্থাপন অনেকটাই সহজ ছিল কারণ ইহুদিরাও কৃষি কাজের জন্যই কি পৌঁছে এসেছিল ইহুদিদের বাসিন্দারা অতিথি হিসেবে সমাদর করতেন এবং ইহুদিরা শুরুর দিকে বন্ধুর মতোই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে সবাই সবার বিপদে আপদে পাশে থাকতো তবে ইহুদীরা ফিলিস্তিনে গোপন মিশন নিয়ে এসেছে সে কথা সরল ফিলিস্তিনের বাসিন্দারা বুজতেই পারেনি  ইহুদিরা প্রথমে দু-একজন করেলেও পরে তারা দলবেঁধে আসতে শুরু করল তখন স্থানীয়দের হুঁশ ফিরে এলো তা বুঝতে পারলেন যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে তাদের এক সময় থাকার জায়গাও থাকবেনা ঈশ্রায়েলি একমাত্র রাষ্ট্রকে 33 বছর ধরে নিজেদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার গোপন পরিকল্পনা করে আসছিল এর পেছনে কারণ ছিল ইউরোপ ইহুদিদের নিজেদের আলাদা দেশ ছিল না তারা শুরু থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকত তবে ইউরোপের লোকজন ইহুদিদের একদমই দেখতে পারত না বিভিন্ন দেশের 

দমন এবং নিপীড়ন এর হয়ে  শিকারি ইহুদীরা 1897 সাল থেকেই নিজেদের জন্য একেবারে আলাদা একটি রাষ্ট্র গড়ে তোলার রাস্তায় খুঁজছিলেন  এক্ষেত্রে ব্রিটেন  ছিল মূল হোতা কারণ ব্রিটানি ফিলিস্তিনে ইহুদীদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল।  1917 সাল থেকে  1948 সালে পর্যন্ত দীর্ঘ 31 বছর বৃটেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল ফিলিস্তিন 1917 দিকে যখন তুরস্কের জেরুজালেমের দখল নিয়ে নেয় ব্রিটেনের তখন ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফিলিস্তিনের মাটিতেই ইহুদিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের জন্য যা যা করা দরকার তারা করবে আর তারই ধারাবাহিকতায় বৃটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেলফোর ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন ইহুদি নেতা ব্যারন রসচাইল্ড কে চিঠিটা ছিল ইহুদীদের কাছে বৃটেনের প্রতিশ্রুতি যাতে পরিষ্কার করা হয়েছিল যে ফিলিস্তিনের জমিতেই প্রতিষ্ঠা করা হবে ইহুদি একটি রাষ্ট্রপতিদের মূলত ইউরোপে কেউই পছন্দ করত না যার জন্য ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা তাদের জন্য দিনকে দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠছিল ইউরোপের এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এই ইহুদীদের একটি নিজস্ব রাষ্ট্রগঠনের চিন্তাকে আরো শক্তিশালী করেছে যখন হাজার 1933 সালের পরের সময়ে হিটলার ইহুদিদের প্রতি কঠোর অবস্থানে যেতে শুরু করেন দিশেহারা হাজার হাজার ইহুদি জাহাজে করে ফিলিস্তিন পালাতে থাকে তাদের পরিকল্পনারই অংশ আর তখনই ফিলিস্তিনি  আরবরা বুঝতে পারেন তাদের অস্তিত্ব বিলীন হবার পথে এর পরের গল্পটা অনেকটা এরকম ফিলিস্তিনের আরবেরা বিদ্রোহ শুরু করলো বৃটেনের সৈন্য আর ইহুদীদের বিরুদ্ধে বৃটেনের এবং ইহুদীরাও হাত গুটিয়ে বসে থাকল না তারাও আরবদের কোণঠাসা করতে লাগল অনেকটা স্ক্রিপ্টের নাটকের মত সবকিছু এগোতে থাকে একসময় আন্দোলন প্রকট আকার ধারণ করে জাতিসংঘ পর্যন্ত সমস্যাটা টেনে নিয়ে যায় আর হাজার 1947 এ জাতিসংঘ সমাধান দিল দুটো আলাদা রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল অবশেষে ইহুদীদের সাথে বারবার সংঘাত অনেক বিদ্রোহ আন্দোলন করে কিন্তু ইহুদিরা নিজেদের নিজেরাই স্বাধীন রাষ্ট্র বলে ঘোষণা দিল এভাবে ধীরে ধীরে ইহুদিরা নিজেদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে করতে একসময় পুরো ফিলিস্তিনি  দখলে নিয়ে নিল বর্তমানে গুগোল আপনি ফিলিস্তিনিদের লিখে অনুসন্ধান করলেও এই নামের মানচিত্র কিছুই পাবেননা দেখবেন সেখানে লেখা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন পৃথিবীর একমাত্র অভাগা দেশ যারা সবকিছু থাকা সত্ত্বেও বাস্তুহারা তারা একটাই ভুল করেছিল আর তা হল ইহুদীদের আশ্রয় দিয়ে


No comments

Powered by Blogger.